আরনন্ড টয়েনবির A Study of History গ্রন্থের বিষয়বস্তু আলোচনা কর।
১৮৮৯-১৯৭৫ সমসাময়িক কালে ইতিহাস-দর্শনের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা ব্যাপক অবদান রাখেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ ঐতিহাসিক আরনন্ড জোসেফ টয়েনবি । ইতিহাস সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় তাঁর “ এ স্ট্যাডি অব হিস্ট্রি “ ( A study of History) বর্তমান সময়ের বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ গ্রন্থ । এ বিরাটকায় গ্রন্থে ১২ টি খন্ডে ১৯৩৪ এবং ১৯৬১ সালের মধ্যে রচিত হয় । সার্বিবভাবে এখানে একজন যত্নবান পর্যবেক্ষকের দার্শনিক-চিন্তাশীলতা এবং প্রয়োগিক দক্ষতার দুর্ভল সংযোগ দেখা যায়। ফলে ঐতিহাসিক, ইতিহাস-দার্শনিক, সমাজবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, এক কথায় সভ্যতার উদ্ভব, বিকাশ, পতন ও বিলুপ্তি বিষয়ে যারা জানতে কেীতূহলী তাদের নিকট “ এ স্টাডি অব হিস্ট্রি” সর্বদা আকর্ষনীয় বলে মনে হয় ।
ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে এক নতুন মতবাদ দিয়ে টয়েনবির ইতিহাস-দর্শন শুনরু হয়। এ মতবাদ হতে ইতিহাস গবেষণার বোধগম্য একক হল “সভ্যতা, গতানুগতিক জাতীয়রাষ্ট্র, নগররাষ্ট্র বা অন্য কোনো রাজনৈতিক সম্প্রদায় নয় । ধর্মীয়, আঞ্চলিক ও কিছুটা রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে তিনি “সভ্যতাকে” ইতিহাসচর্চার প্রকৃত বিষয় বলে গ্রহণ করেন এবং এ সূত্রে সভ্যতাকে মোট ২১ টি সম্বন্ধ বিশিষ্ট এবং সম্বন্ধহীন সভ্যতা নমুনাস্বরূপ তিনি আলোচনায় আনেন। এ সভ্যতাগুলো হল:
পশ্চিম দেশীয় ( the western),