কাহৃপা কে ছিলেন? (১০তম বিসিএস ) লিখিত
উত্তরঃ কাহৃপা হলেন চর্যাপদের একজন অন্যতম কবি, সর্বাধিক পদ রচয়িতা । তাঁর সর্বাধিক ১৩ টি পদ চর্যায় গৃহীত হয়েছে ।
কাহৃপাঃ
১) চর্যাপদের সর্বাধিক পদরচয়িতা কোন কবি?
উত্তরঃ কাহৃপা ।
২) তিনি কয়টি ও কোনপদগুলো রচনা করেন?
উত্তরঃ ১৩ টি পদ। পদগুলো হলো: ৭, ৯ থেকে ১৩, ১৮, ১৯, ৩৬, ৪০, ৪২, ৪৫ ( ২৪ নং পদটি কাহৃপা রচিত, তবে সেটি পাওয়া যায় নি ) ।
৩) ব্যাক্তিগতভাবে কাহৃপা কী ছিলেন?
উত্তরঃ কাহৃপা সহজিয়া তান্ত্রিক বেীদ্ধযোগী । তিনি ধর্মশাস্ত্র ও সঙ্গীত শাস্ত্র উভয় দিকেই দক্ষ ছিলেন।
৪) চর্যাপদের যে পদগুলো পাওযা যায় নি তার কোনটি কাহৃপার রচনা বলে মনে করা হয়?
উত্তরঃ ২৪ নং পদটি।
৫) চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি পদ রচয়িতার নাম ?
উত্তরঃ কাহৃপা ।
৬) চর্যাপদে কাহৃপা আর কী কী নাম পাওয়া যায়?
উত্তরঃ কাহৃ, কাহিৃ, কাহিৃল, কৃষ্ণচর্য, কৃষ্ণবজ্রপাদ ।
৭) কোন কবি সর্বাপেক্ষা বেশি পদ রচনা করেন?
উত্তরঃ কাহৃপা । ১৩ টি পদ রচনা করেন । ১২ টি পাওয়া গেছে কিন্তু ২৪ নম্বার পদটি পাওয়া যায় নি।
চর্যাপদের গুরুত্বঃ
চর্যাপদ হলো বেীদ্ধ সিদ্ধচার্যদের রচিত ধর্মীয় সংগীত। চর্যাপদ হলো বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন। “চর্যাপদ” যেহেতু বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন , সেজন্য বাংলা ভাষার প্রাচীন রূপ জানার ক্ষোত্রে চর্যাপদ- এর ভূমিকা অপরিহার্য । “চর্যাপদ” আবষ্কিারের ফলে বাংলা ভাষার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব । ”চর্যাপদ” – এ ব্যবহৃত কিছু প্রবাদ ও রূপকল্প পরবর্তীকালের বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে । তাছাড়া , চর্যাপদে যে সব মানুষের উল্লেখ আছে তাদের অনেকেই দরিদ্র । এখানে আছে কাপালিক, যোগী, ডোম্বী, মাঝি, শিকারী, নেীকাবাহী ইত্যাদি । ”চর্যাপদের” কবি হলোঃ কাহৃপা, কুক্কুরীপা, ধর্মপা, ঢেন্ডণপা, বিরুপা, বীণাপা, ভাদেপা, ভুসুকুপা, লুইপা, মহীধরপা, শররপা, শান্তিপা, সরহপা, ডোম্বীপা, কম্বলাম্বরপা, গুগুরীপা, চাটিল্লাপা, আর্যদেবপা, দারিকপা, তাড়কপা, কঙ্কণপা, তন্ত্রীপা ইত্যাদি ।